অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার ইউটার্ন যেন এক মৃত্যুফাঁদ।গেলো কয়েক বছরে এ স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে প্রায় অর্ধশত লোকের।আহত হয়েছেন শতাধিক। কেউ কেউ স্থায়ী পঙ্গুত্ব নিয়েও বেঁচে আছেন। শুক্রবার দুপুরে একই স্থানে আরেকটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মা, বাবা ও দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ইউটার্নটি গতকাল বিকেলে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় প্রাইভেটকারে থাকা ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে আবুল হাসেম স্বপন (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম মামুন (৪৫) প্রাণ হারান। চট্টগ্রামমুখী সড়ক থেকে ইউটার্ন নেওয়ার সময় দ্রুতগামী সিমেন্টবোঝাই লরি উল্টে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায় একটি পরিবারের চারটি জীবন।
স্থানীয়রা বলছেন, ইউলুপ ও আন্ডারপাস নির্মাণকাজ সময়মতো শেষ না হওয়ায় আজও এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। এক বাসিন্দা বলেন, ‘ইউলুপ হলে প্রাইভেটকার ও লরি আলাদা পথে যেত। এ সংঘর্ষ ঘটত না। অথচ জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় কাজ থেমে আছে।’
সওজ জানায়, ইউলুপের কাজ শেষ হয়েছে ৪০ শতাংশ, আন্ডারপাসের মাত্র ২৫ শতাংশ। প্রকল্প থমকে থাকায় মানুষ প্রতিনিয়ত প্রাণ দিচ্ছেন।